নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 252 বার পঠিত
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ১০ ডিসেম্বর এবং ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের কথিত ১২ তম নির্বাচনী নাটকের একচ্ছত্র অভিনেতা আওয়ামী বাকশালী জোটের নির্বাচনী আসন ভাগাভাগি ও পার্শ্বচরিত্রে অংশগ্রহনকারী বিভিন্ন প্রার্থীদের নামের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ও প্রত্যাহারের দিন।
উপরে বর্ণিত তিনটি পৃথক পৃথক কোন একটি তারিখে বা তার পূর্বাহ্নেই নিশ্চিত ভাবে বাংলাদেশের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের বিশ্বব্যাপী মিত্র জোটের পক্ষ থেকে বানিজ্য বা অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা আসছে এমন
রাজনৈতিক মতলববাজী ও জনবিভ্রান্ত প্রচারনার প্রবর্তক হলেন, ফ্যাসিষ্ট শাসন ও শোষনের সাবেক দোসর জানিপপের চেয়ারম্যান ও অনলাইন পত্রিকা বাংলা ইনসাইডার লিমিটেডের অন্যতম পরিচালক প্রফেসর কলিমুল্লাহ । তার সাথে বুঝে হোক বা না বুঝে হোক সুর মেলাচ্ছেন টেলিভিশন টক শো তে অংশ নেওয়া কতিপয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ। প্রকৃত অর্থে এরা হচ্ছে অব্যাহত ফ্যাসিষ্ট শাসনের অভ্যান্তরে লুকিয়ে থাকা গোপন Brain Child বা মানসপুত্র।
এইসব মানসপূত্রগণ টেলিভিশনে বিভিন্ন টকশোতে বিভিন্ন কায়দা-কৌশলে বাংলাদেশের উপর নতুন নতুন অগ্রীম মার্কিনী স্যাংশনের Deadline ঘোষনা করে বেশ জোরে শোরে চমকপ্রদ বক্তৃতার ঝড় তুলে বিরোধী মতের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বেকার স্যাংশনের উদাহরণ টেনে এরা দেখাচ্ছেন, বাংলাদেশের এলিট ফোর্স RAB এর গুটিকয়েক কর্মকর্তার উপর অতীতে উল্লেখিত মাসের নির্দিষ্ট তারিখের আগে বা পিছে স্যাংশন প্রয়োগ করা হয়েছিল। সুতরাং সরকার পতনের নির্দিষ্ট দিনক্ষন ধেয়ে আসছে মর্মে রাজনীতি বিবর্জিত হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করছে।
এদের প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো চলমান আন্দোলনের মাঠে চক খড়ি দিয়ে একটি বর্ডার লাইন টেনে দিয়ে, আন্তর্জাতিক মহল কর্তৃক ঘোষিত সুষ্ঠ, গ্রহনযোগ্য ও অংশগ্রহনমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা বা তাগিদের একটি চুড়ান্ত সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া। অর্থাৎ আন্দোলনকামী জনগনকে বোঝাতে চায় এই চুড়ান্তসীমার মধ্যে কোন আন্তর্জাতিক চাপ না আসলে আন্দোলনের আর কোন ফায়দা নেই ।
ফ্যাসিষ্ট শিবির থেকে এই কূটচালের উদ্দেশ্য হলো, তাদের কল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলক তারিখ স্যাংশনবিহীনভাবে অতিক্রান্ত হলে স্বভাবতই আন্দোলনকামী রাজনৈতিক কর্মীরা চলমান আন্দোলনের মাঠে হঠ্যাৎ হোঁচট পেয়ে রাজনীতির মাঠ কিছুটা হলেও নিস্তরংগ হবে এবং একইভাবে মুক্তিকামী কোটি কোটি জনগন বিভ্রান্ত ও হতাশ হবে। ফলে আন্দোলনে ভাটার টান পড়লে ফ্যাসিষ্ট শিবিরে স্বস্তি ফিরে আসবে এবং ফ্যাসিষ্টদের নির্বাচনী নাটক মন্চস্হ করতে সহজতর হবে। সুতরাং ফ্যাসিষ্টের দোসরদের কথায় বা বিশ্লেষনে বিভ্রান্ত না হয়ে, আন্দোলনরত বিপ্লবীদের মনে রাখতে হবে ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে লড়াই স্বভাবতই অনিদৃষ্টকাল ব্যাপী হয়। কিন্তু যেহেতু দীর্ঘ ১৫ বছর ব্যাপী ফ্যাসীবাদ বিরোধী সংগ্রামে ইতিমধ্যে আমরা দেশের জনগনের সমর্থন অর্জন করেছি পাশাপাশি বিদেশী রাষ্ট্র্গুলোর সমর্থন আমাদের চলমান লড়াইয়ে প্রভাবক হিসাবে কাজ করছে তাই বিজয় আমাদের আসন্ন ও সুনিশ্চিত।
অনেক নির্মোহ ও নিরপেক্ষ বিশ্লেষকগণ বলছেন, মাঠের আন্দোলনে সাধারন জনগন নামছে না বা সম্পৃক্ত হচ্ছে না । এটার ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক ব্যাখ্যা হলো, রাজনীতি বা রাজনৈতিক আন্দোলনের মাঠে থাকে সাধারনত যথাক্রমে রাজনৈতিক সংগঠক , কর্মী এবং বিপ্লবীরা । আম-জনতা তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে ভয় পায়। জনগন যখন বুঝতে পারে শাসক বা জালিমের হাতে কব্জাকৃত coercive force এর moral down হয়ে জালিম থেকে একে একে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে জনগন তখন আসন্ন বিজয়ের ইংগিত পায় এবং শুধুমাত্র তখনই আম-জনতা বাধ ভাঙা স্রোতের মত রাস্তায় নেমে আসে । ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক ভাবে এটাই সত্য। আবেগ তাড়িত না হয়ে নির্মোহ বিশ্লেষন করলে দেখা যাবে, এদেশে ৫২,৬৯, ৭১ এবং ৯০ তে সেটাই হয়েছিল। কিংবা নিকট অতীতে আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংগঠিত ১৯৯৬ বা ২০০৭ সালের রাজনৈতিক আন্দোলনের ঘটনা প্রবাহ সুক্ষ দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষন করলে উপলদ্ধি করা যায় জনতা কখন গনআন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়। পৃথিবীর দেশে দেশে ফ্যাসিষ্ট বিরোধী আন্দোলন ও সমাজ পরিবর্তনের বিপ্লবে তাইই হয় বা হয়েছিল। এটাই রাজনীতি এবং আন্দোলনের অলিখিত ব্যাকরণ।
সুতরাং সাধু কিংবা শয়তানের চমকপ্রদ বক্তৃতা বিবৃতিতে বিভ্রান্ত না হয়ে মাথায় দেশপ্রেম এবং বুকভরা সাহস নিয়ে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগনের পক্ষে আওয়ামী-বাকশালী বিরোধী ক্রিয়াশীল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ চলছে চলবে॥
তানভীর বারী হামিম: প্রচার সম্পাদক(যুগ্ম সম্পাদক পদমর্যাদা) কবি জসীমউদ্দীন হল ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বি. দ্র. মতামতের দায় শুধুমাত্র লেখকের। বাংলা পোস্টের নয়
Posted ১১:৩৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
banglapostbd.news | Rubel Mia
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
৭৮/৩ কাকরাইল, ভিআইপি রোড, ঢাকা-১০০০।