
মোহাম্মদ মোশাহিদ আলী | সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪ | প্রিন্ট | 298 বার পঠিত
মুহাররম : আল্লাহ্ তাআলার নির্ধারিত সম্মানিত মাস এবং হিজরী বর্ষের প্রথম মাসঃ
হিজরী বর্ষের সর্বপ্রথম মাস- মুহাররামুল হারাম তথা মুহাররম মাস। হাদীসের ভাষায়- শাহরুল্লাহ আলমুহাররাম। আল্লাহ তাআলা বছরের যে ক’টি মাসকে বিশেষ মর্যাদায় মহিমান্বিত করেছেন মুহাররম তার অন্যতম। পবিত্র কুরআন মাজীদে আল্লাহ তাআলা বলেন-
اِنَّ عِدَّةَ الشُّهُوْرِ عِنْدَ اللهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِیْ كِتٰبِ اللهِ یَوْمَ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ مِنْهَاۤ اَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ؕ ذٰلِكَ الدِّیْنُ الْقَیِّمُ. فَلَا تَظْلِمُوْا فِیْهِنَّ اَنْفُسَكُم …
আল্লাহ যেদিন আসমান যমীন সৃষ্টি করেছেন সেদিন থেকেই মাসসমূহের গণনা আল্লাহ তাআলার নিকট তাঁর বিধান মতে বারটি। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। এটাই সহজ-সরল দ্বীন (-এর দাবি) অতএব তোমরা এ দিনগুলোতে নিজের উপর জুলুম করো না।… -সূরা তাওবা (৯) : ৩৬।
এ চার মাস কী কী? হাদীস শরীফে তা বলে দেওয়া হয়েছে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- সময়ের হিসাব যথাস্থানে ফিরে এসেছে, আসমান-যমীনের সৃষ্টির সময় যেমন ছিল। (কারণ, জাহেলী যুগে আরবরা নিজেদের স্বার্থ ও মর্জিমতো মাস-বছরের হিসাব কম-বেশি ও আগপিছ করে রেখেছিল।) বার মাসে এক বছর । এর মধ্য থেকে চারটি মাস সম্মানিত। তিনটি মাস ধারাবাহিক- (১) যিলকদ, (২) যিলহজ্ব ও (৩) মুহাররম। আরেকটি হল (৪) রজব মাস। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৪৬৬২।
হাদীসে এ মাসকে শাহরুল্লাহ তথা আল্লাহর মাস বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- রমযানের পর সবচে উত্তম রোযা হল আল্লাহর মাস মুহাররমের রোযা। আর ফরয নামাযের পর সবচে উত্তম নামায হল রাতের নামায (অর্থাৎ তাহাজ্জুদের নামায)। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬৩।
আরো ইরশাদ হয়েছে-(রমযানের পর) শ্রেষ্ঠ মাস হচ্ছে আল্লাহর মাস, যাকে তোমরা মুহাররম বলে থাক। -সুনানে কুবরা, নাসাঈ, হাদীস ৪২১৬।
দশ মুহাররম ‘ইয়াওমে আশুরা’ : গুরুত্ব ফযীলত এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটঃ
মুহাররম মাসের সবচে মহিমান্বিত দিন হচ্ছে ‘ইয়াওমে আশুরা’ তথা মুহাররমের দশ তারিখ। হাদীসে আশুরার দিনের অনেক ফযীলত বিবৃত হয়েছে। এমনকি ইসলামপূর্ব আরব জাহেলী সমাজে এবং আহলে কিতাব- ইহুদী-নাসারাদের মাঝেও ছিল এ দিনের বিশেষ গুরুত্ব ও মর্যাদা।
উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রা. বলেন-জাহেলী সমাজে) লোকেরা রমযানের রোযা ফরয হওয়ার পূর্বে আশুরার দিন রোযা রাখত। এ দিন কাবায় গেলাফ জড়ানো হত। এরপর যখন রমযানের রোযা ফরয হল তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে এ দিন রোযা রাখতে চায় সে রাখুক। যে না চায় না রাখুক। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৫৯২।
এ হাদীসদ্বয় থেকে বুঝে আসে- জাহেলী সমাজে এ দিনের বিশেষ গুরুত্ব ছিল। এ দিনে তারা কাবা শরীফে গেলাফ জড়াত। এ দিন তারা রোযা রাখত। নবীজীও এ দিন রোযা রাখতেন। হিজরতের পরও এ দিন রোযা রাখতেন। রমযানের রোযা ফরয হওয়ার পূর্বে এ দিনের রোযা ফরয ছিল। রমযানের রোযা ফরয হওয়ার পর এ দিন রোযা রাখা এখন মুস্তাহাব।
এরপর যখন রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরত করে মদীনা মুনাওয়ারায় চলে আসেন দেখেন, মদীনার আহলে কিতাব ইহুদীরাও এ দিনে রোযা রাখছে। এ দিনকে তারা বিশেষভাবে উদ্যাপন করছে। নবীজী তাদের জিজ্ঞাসা করলেন-
এ দিনে তোমরা কী জন্য রোযা রাখছ? তারা বলল-এটি একটি মর্যাদাপূর্ণ দিবস। আল্লাহ তাআলা এ দিনে হযরত মূসা আ. ও তাঁর কওমকে (ফেরাউনের কবল থেকে) মুক্তি দিয়েছেন। এবং ফেরাউনকে তার দলবলসহ (দরিয়ায়) নিমজ্জিত করেছেন। এরপর হযরত মূসা আ. এ দিনে শুকরিয়া আদায় স্বরূপ রোযা রাখতেন। তাই আমরাও রোযা রাখি।
নবীজী এ শুনে বললেন-হযরত মূসা আ.-এর অনুসরণের ক্ষেত্রে তো আমরা তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার। এরপর নবীজী নিজেও রোযা রাখলেন এবং অন্যদের রোযা রাখতে বললেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৩০; সহীহ বুখারী, হাদীস ১১২৫, ৩৯৪৩।
রোযা ও তাওবা : আশুরার বিশেষ আমলঃ
আশুরা অর্থাৎ এই মাসের ১০ তারিখ দিনের রোযার ফযীলতের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-আশুরার দিনের রোযার ব্যাপারে আমি আল্লাহর নিকট প্রত্যাশা রাখি, তিনি পূর্বের এক বছরের (সগীরা) গুনাহ মাফ করে দেবেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬২।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আশুরার রোযা রাখছিলেন এবং অন্যদেরকে রোযা রাখতে বলেছিলেন তখন সাহাবীগণ বললেন-ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ দিনকে তো ইহুদী-নাসারারা (খ্রিস্টানরা) সম্মান করে? তখন নবীজী বললেন-তাহলে আগামী বছর আমরা নয় তারিখেও রোযা রাখব- ইনশাআল্লাহ। কিন্তু সেই আগামী বছর আসার পূর্বেই নবীজীর ইন্তেকাল হয়ে যায়। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৩৪।
‘নয় তারিখ রোযা রখব’ মানে দশ তারিখের সাথে নয় তারিখ মিলিয়ে রাখব। এজন্য ইবনে আব্বাস রা. বলতেন-তোমরা নয় তারিখ এবং দশ তারিখ রোযা রাখ এবং ইহুদীদের বিরোধিতা কর। -জামে তিরমিযী, হাদীস ৭৫৫।
রাসূল (ছাঃ) ইহুদিদের বিরোধিতা করার জন্য ঐ দিন সহ তার পূর্বের অথবা পরের দিন সহ ছিয়াম পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। অতএব সুন্নাত হ’ল, ৯ ও ১০ই মুহাররম অথবা ১০ ও ১১ই মুহাররমে ছিয়াম পালন করা।
মহররম মাসে সংঘটিত যে বিশেষ ঘটনাবলী সংঘটিত হয়েছে তা হলঽ
১। আকাশ জমিন পাহাড়-পর্বত সবকিছুর সৃষ্টি।
২। আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়।
৩। প্রথম মানব হজরত আদম (আ.)-কে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়।
৪। হজরত আদম (আ.)-কে জান্নাত থেকে দুনিয়ায় পাঠানো এবং তার সঙ্গে বিবি হাওয়ার সাথে আরাফাতের ময়দানে জাবালে রহমতে পুনঃসাক্ষাৎ লাভ করেন।
৫। নূহ (আ.) মহাপ্লাবন শেষে জুদি পাহাড়ে অবতরণ।
৬। হজরত নূহ (আ.)-কে তুফান ও প্লাবন থেকে পরিত্রাণ।
৭। হজরত ইদ্রিস (আ.)-কে আসমানে উত্তোলন।
৯। হজরত দাউদ (আ.)-কে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়।
১০। হজরত সুলাইমান (আ.)-কে পৃথিবীর এমন রাজত্ব দান করা হয়েছে যার অনুরুপ রাজত্ব তাঁরা পর আর কাউকে দেওয়া হয়নি।সোলায়মান আঃ কে আল্লাহ বিভিন্ন প্রানীর ভষা বুঝা, বাতাসকে তাঁর অনুগত করে দেওয়া, দুষ্ট জীনদেরকে তাঁর বাধ্যগত করে দেওয়া ছাড়াও অনেক নেয়ামত দান করেছেন।
১১। হজরত সোলায়মান (আ.) কে হারানো বাদশাশি ফিরিয়ে দেয়া।
১২। হজরত ইব্রাহিম (আ.) নমরুদের প্রজ্বালিত অগ্নিকুণ্ড থেকে মুক্তিলাভ করেন।
১৩। হজরত ইয়াকুব (আ.)-এর হারানো পুত্র হজরত ইউসুফ (আ.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ।
১৪। দীর্ঘ রোগ ভোগের পর হজরত আইয়ুব (আ.) দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি লাভ করেন।
১৫। হজরত ইউনুস (আ.)-কে ৪০ দিন পর দজলা নদীতে মাছের পেট থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
১৬। হজরত মুসা (আ.) ও বনী ইসরাইলীদেরকে ফেরাউনের যুলুম ও অত্যাচারের কবল থেকে রক্ষা করা হয়।
১৭। হজরত ঈসা (আ.)-এর পৃথিবীতে আগমন এবং জীবিতাবস্থায় আসমানে উত্তোলন, যা পবিত্র কোরআনে সুরা আল ইমরানের ৫৫ নম্বর আয়াতে উল্লেখ রয়েছে।
১৮। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা থেকে হিজরত করতে মদিনায় যান।
১৯। গাজওয়ায়ে খায়বার বিজয় অর্জন।
২০। মাদায়েন ও কাদিসিয়ার যুদ্ধে বিজয় অর্জন।
২১। এই দিন রাসুলে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র, বেহেশতি যুবকদের সরদার হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) এবং তার ৭৭ ঘনিষ্ঠজন স্বৈরশাসক ইয়াজিদের সৈন্যের মাধ্যমে কারবালা প্রান্তরে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করেন। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক, অনভিপ্রেত ও যুলুম ও অবিচারের চুড়ান্ত নজির । এর জন্য মুসলিম উম্মাহ চরম ভাবে দুঃখিত ও লজ্জিত । শুহাদায়ে কারবালার মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য আমরা দোয়া করি। কিন্তু
শিয়ারা শিয়ারা কারবালার বিয়োগান্তকর ঘটনা নিয়ে অনেক বানোয়াট ও অতিরঞ্জিত কথা প্রচার করে রাসুল সঃ এর সাহাবী ও তাবেয়ীদের সম্পর্কে অমর্যাদাকর কথা বলে। সুন্নী মুসলমানদেরকে শিয়াদের খপ্পর থেকে বেঁচে আশুরা সম্পর্কে সুন্নাহ সম্মত আকীদা পোষন করতে হবে ও আমল করতে হবে।
মুহাররম মাসের বিদ‘আত সমূহঃ
(১) শাহাদতে হুসাইনের শোক পালনের উদ্দেশ্যে মহররম মাসে ছিয়াম পালন করা।
(২) তার বিপরীতে স্বৈরশাসক ও তাঁর দোসররা ১০ই মুহাররমকে বিজয় বা আনন্দ উৎসবে পরিণত করা।
(৩) তাযিয়া মিছিল করা এবং হায় হোসেন-হায় হোসেন বলে নিজের শরীরে আঘাত করে দেহকে রক্তাক্ত করা।
(৪) ১০ই মুহাররমে চোখে সুরমা লাগানো সুন্নত বা সওয়াবের কাজ মনে করা।
(৫) ১০ই মুহাররমে বিশেষ ফযীলতের আশায় বিশেষ পদ্ধতিতে ছালাত আদায় করা – যার কোন শরিয়ী ভিত্তি নেই।
(৬) ওহী লেখক সাহাবী ও মুসলিম জাহানের শাসক মুয়াবীয়া রাঃ এর পুত্র তাবেঈ ইয়াযীদ বিন মু‘আবিয়া-কে ‘মালঊন’ বা অভিশপ্ত বলে গালি দেওয়া।
(৭) আশুরার দিন কুরবানীর গোশত দিয়ে খিছুরি রান্না করে খাওয়া এবং অন্যদের নিকট বিতরন করা।
(৮)। আশুরার দিন কুরবানীর গোশত খাওয়া শেষ করা এবং মহররম মাসের পর কুরবানীর গোশত সংরক্ষন করা দোষনীয় মনে করা।
(৯) মহররম মাসকে শোকের মাস মনে করে বিবাহশাদি সম্পাদন করা সহ কোন খুশির কাজ না করা, ইত্যাদি ।
মৃত মুসলমানদের সমালোচনা করার বিষয়ে ইসলামের বিধানঃ
মৃত মুসলমানদের সম্পর্কে উম্মুল মুমেনীন হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, তোমরা মৃতদেরকে গালমন্দ করবে না, কারণ তারা যে কর্ম করেছিল সেগুলোর কাছে তারা পৌঁছে গেছে। [বুখারী ]
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯০০)
মৃত মুসলমানদের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করাই আমাদের কতর্ব্য। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে আল্লাহর নবী ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া বর্ণিত হয়েছে, ‘হে আমার প্রতিপালক! যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ঈমানদারকে ক্ষমা করুন। ’ (সুরা ইবরাহিম, আয়াত : ৪১)
মহরমের শিক্ষাঃ
(১) তাগুতি বা শয়তানী শাসন ব্যবস্থার স্থলে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েমের জন্য ইকামতে দ্বীনের কাজ করা ।
(২) যুলুম ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সুন্নাহ সম্মত উপায়ে প্রতিবাদ অব্যহত রাখা। প্রতিবাদ করার সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি হলঃ (ক) যার সামর্থ আছে তিনি হাতের দ্বারা বা (খ) মুখের কথার দ্বারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা । (গ) অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে গেলে জীবন ও সম্পদ হানির নিশ্চিত সম্ভাবনা থাকলে অন্যায় কাজকে ঘৃনা করা এবং অন্যয় কাজ বন্ধ করার জন্য কৌশলে চেষ্টা চালানো ও আল্লাহর সাহায্য কামনা করা।
(৩) আশুরার দিন রোজা পালন করার পাশাপাশি হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুর স্মরণে তার জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা আয়োজন করা। ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য হোসাইন রাঃ ও তাঁর সংগীদের ত্যাগ ও অবদান তুলে ধরা এবং মুসলিম উম্মাহর করনীয় এবং বর্জনীয় কাজ সম্পর্কে অনুপ্রেরণা জাগিয়ে তোলা।
(৪)। শহীদানে কারবালার মাগফেরাত ও জান্নাতে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করা।
উপসংহারঃ আল্লাহ যেন মুহররম মাসে আমাদেরকে বেশী-বেশী করে খাঁটি ভাবে তওবা করার, এই মাসের এবং ৯-১০ বা ১০-১১ তারিখে রোযা পালন করা ও মহররম মাসের শিক্ষা বিষয়ক আলোচনা সভা আয়োজন করা এবং শহীদানে কারবালার জন্য দোয়া করার তৌফিক দান করেন – আমীন।
লেখক : সাবেক ছাত্রনেতা ও সংগঠক
Posted ১০:৩৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
banglapostbd.news | Rubel Mia
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
৭৮/৩ কাকরাইল, ভিআইপি রোড, ঢাকা-১০০০।